বনমন্ত্রীর পদ থেকে শুক্রবার ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর কোনো কারণ তিনি উল্লেখ করেননি। বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা ছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে তার দূরত্ব বাড়ছে। মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা সেই জল্পনাকে আরও জোরাল করল। শুভেন্দু অধিকারীর পর তৃণমূলের আবার এক হেভিওয়েট নেতা বিরোধী শিবিরে নাম লেখাবেন কী না, তা ভবিষ্যৎই বলবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো ইস্তফাপত্রে রাজীব লিখেছেন, আমি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আজ, অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ থেকে আমি বনদপ্তরের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। এনডিটিভির একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, রাজীবের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
কয়েকদিন আগে রাজীব নিজেই ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। স্পষ্টতই তিনি যে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ, তা বুঝিয়ে দেন। তিনি বারবার বলেন, আমি মানুষের সাথে আছি। ভালো কাজ করতে চাই। এর পাশাপাশি রাজীব বারবার উল্লেখ করেন, দলীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তার নির্বাচনী এলাকার ভোটার, কারুর সাথেই তিনি কোনোদিনও খারাপ আচরণ করেননি। রাজীবের অসন্তোষের কথা দলীয় নেতৃত্বের কানে পৌঁছেছিল। তারা চেষ্টা করেছিল, আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু যাতে মেটানো হয়। সিনিয়র টিএমসি নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে রাজীবের এই নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। তবুও সমাধান যে কিছু হয়নি, শুক্রবারের ইস্তফা সেকথাই প্রমাণ করল।
ভোটের মরসুমে রাজ্যে দলবদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। গেরুয়া শিবিরের দাবি, আগামী দিনে তৃণমূল শিবিরের আরও নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন। বিগত ডিসেম্বরে রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্যের শাসকদলকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড বলে তিনি বারবার কটাক্ষ করেছেন। শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের আরও অনেক নেতা এর মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।