জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। বছরের এই সময়টা বেশ একটা উৎসব উৎসব ব্যাপার থাকে। গ্রামে-গঞ্জে মেলা, যাত্রাপালা, শীতের রকমারি খাবারের পাশাপাশি এটা বেড়ানোর জন্যও আদর্শ মরসুম। অন্তত উইকএন্ডে জমাটি পিকনিক বা শর্ট ট্রিপ হতেই পারে। সুন্দরবনের চারিদিকে বেড়াতে যাওয়ার অনেক জায়গা রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হল সুন্দরবন ন্যাশনাল পার্ক। সুন্দরবন তো বটেই, যারা কলকাতা সহ আশেপাশে থাকেন বা একটু দূরে, সবাই এই শীতে এক দু দিনের জন্য সুন্দরবন ন্যাশনাল পার্কে ঢুঁ মারতেই পারেন।
সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভে মূলত দুটি এন্ট্রি পয়েন্ট রয়েছে। একটি হল ক্যানিং হয়ে সোনাখালি, আর অন্যটি হল ধামাখালি হয়ে বাগনা।মাতলা নদীর পশ্চিমাংশে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ফরেস্ট ডিভিশনে ভ্রমণের জন্য এন্ট্রি পয়েন্টগুলি হল নামখানা, রায়দিঘি অথবা ক্যানিং/বাসন্তি হয়ে ঝড়খালি।ক্যানিং, ঝড়খালি এবং বাগনায় এন্ট্রি পারমিট পাওয়া যায়। অন্যদিকে সুন্দরবনের জঙ্গলের পশ্চিমাংশের জন্য এন্ট্রি পারমিট পাওয়া যায় ক্যানিং, নামখানা এবং রায়দিঘিতে।
আকাশপথে:
দমদম (১৬৬ কিলোমিটার) হল নিকটবর্তী বিমানবন্দর
ট্রেনপথে:
নিকটবর্তী রেল স্টেশন ক্যানিং ৪৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গোসাবা থেকে দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার।
এছাড়া জলপথ দিয়েও সুন্দরবনে প্রবেশ করা যায়। কলকাতা থেকে ট্রেন ধরে সরাসরি ক্যানিং পৌঁছানো যায়। সড়কপথে নামখানা, রায়দিঘি এবং নজতে পৌঁছানে যেতে পারে। এখান থেকেই মোটরচালিত নৌকা বা লঞ্চে করে সুন্দরবনে যেতে পারেন।
সড়কপথ:
কলকাতা থেকে উপরোক্ত এন্ট্রি পয়েন্টগুলির দূরত্ব- নামখানা ১০৫ কিমি, সোনাখালি ১০০ কিমি, রায়দিঘি ৭৬ কিমি, ক্যানিং ৬৪ কিমি, নজত ৯২ কিমি।
জলপথ:
নামখানা থেকে ভগবতপুর কুমীর প্রকল্প (২.৫ ঘন্টা), সাগরদ্বীপ (২.৫ ঘন্টা), জম্বুদ্বীপ (৩.৫ ঘন্টা)
সজনেখালি থেকে সুধন্যখালি (৪০ মিনিট), বুড়িডাবরি (টাইগার প্রোজেক্ট এরিয়া)(৫ ঘন্টা)নেতিধোপানি (৩.৫ ঘন্টা) হলিডে আইল্যান্ড (৩ ঘন্টা)
সোনাখালি থেকে গোসাবা (১ ঘন্টা)
রায়দিঘি থেকে কলস (৫ ঘন্টা)
সুন্দরবন ন্যাশনাল পার্ক বেড়াতে যাওয়ার সময়
সেপ্টেম্বর থেকে মে