ফের উত্তরবঙ্গে ট্রেনে কাটা পড়ে হাতির মৃত্যু হল। একটি নয়, এবার একসঙ্গে দু দুটি হাতির প্রাণ গেল। বুধবার ভোর সোয়া ৫টা নাগাদ নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন খড়িবাড়ির দিলসারাম জোত দুধগেট এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে ওই দুটি হাতির মৃত্যু হয়। রেল ও বনদপ্তরের বোঝাপড়ার অভাবে হাতি দুটির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।
খড়িবাড়ি ব্লকের বাতাসি ও পানিট্যাঙ্কি এলাকায় কয়েকদিন যাবৎ লোকালয়ে খাবারের খোঁজে হাতির আনাগোনা শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ ২৫-৩০টি হাতির একটি দল টুকুরিয়া বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে পানিট্যাঙ্কি দুধ গেট এলাকার রেললাইন পেরিয়ে বাতাসির দিলসারাম জোত, শ্যামধান জোত হয়ে মধুয়াবাড়ি গ্রামে হানা দেয়। মাঠের ধান-সবজি সাবাড় করে বনে ফেরার পথে দুধগেট এলাকায় রেললাইন পার হবার সময় শিলিগুড়ি-কাটিহার ইন্টারসিটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুটি হাতির। এদের মধ্যে একটি ১৪-১৫বছরের পূর্ণ বয়স্ক প্রসূতি হাতি ছিল। পোস্ট মর্টেমের তার পেটে ৩ মাসের একটি ভ্রূণ পাওয়া যায়। খড়িবাড়ি ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দেবাশীষ মহন্ত এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত হাতির বয়স ৪-৫বছর বলে জানা যায়।


এই এলাকায় হাতির নতুন করিডোর হলেও রেলের গতি নিয়ন্ত্রণের কোন উদ্যোগ না থাকায় হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অসিত সিংহ অভিযোগ করেন। এদিকে পরিবেশ প্রেমী সংগঠন ন্যাফের সদস্য সি.কে.ছেত্রী বলেন, আসলে হাতি চলাচলের নতুন এই করিডোর সম্পর্কে রেল দপ্তরের সঙ্গে বনদপ্তরের কোন বোঝাপড়া না থাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বেশকিছু দিন যাবৎ এই পথে হাতি চলাচল করা সত্ত্বেও কেন বন দপ্তর রেল দপ্তরের সাথে এই এলাকায় রেলের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যোগাযোগ করে নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে কার্শিয়াং ডিভিশনের ডিএফও জে. শেখ ফরিদ বলেন, এই এলাকায় হাতির নতুন করিডোরটি নিয়ে রেল দপ্তরের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা হবে।