বিপাকে পড়লেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন। একটি ভাড়া করা বিলাসবহুল গাড়ি চালানোর সময় একাধিকবার গতির উর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন করায় যুক্তরাজ্যে (ইউকে) তার ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেদেশে থাকাকালীন গাড়ি চালানোর সময় তিনি মোট ১৮ বার ট্রাফিক আইন ভেঙেছেন বলে জানা গিয়েছে। যুক্তরাজ্যে সর্বোচ্চ ১২ বার পর্যন্ত ট্রাফিক আইন ভাঙা যায়।
অতিরিক্ত গতিতে মোট ছয় বার গাড়ি চালিয়েছেন শেন ওয়ার্ন। তার বিরুদ্ধে সেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। স্কাই স্পোর্টসের সাথে কাজের সূত্রে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মরসুমে তিনি লন্ডনে ছিলেন। তখনই এই ঘটনা ঘটে। গত জুলাই মাসে ওয়ার্ন আপিল করে বলেছিলেন, তার ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নিলে তিনি বিপাকে পড়বেন। কবে ইংল্যান্ডের সংবাদপত্র হেরাল্ড সানের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, তার লাইসেন্স সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি আর গাড়ি চালাতে পারবেন না। ২০১৮ সালে তিনি অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর অপরাধ করেছিলেন। সেবার কেনসিংটনে তিনি ঘন্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালিয়েছিলেন। সেই এলাকায় গাড়ি চালানোর সর্বোচ্চ গতি হল ৬৪ কিলোমিটার।
ট্রাফিক নিয়ম ভাঙায় শেন ওয়ার্নকে কড়া কথা বললেন বিচারক
তদন্তের পর দেখা যায়, শেন ওয়ার্ন বারংবার ট্রাফিক আইন অমান্য করেছেন। গতির উর্ধ্বসীমা লঙ্ঘনের দায়ে তাকে মোটা টাকা জরিমানা করা হয়। এর পাশাপাশি বাতিল করা হয়েছে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স। গত বছর রায় প্রদানের সময় ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট জাজ আদ্রিয়ান টার্নার সরব হয়েছিলেন শেন ওয়ার্নের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন ক্রিকেটারের বার বার নিয়ম ভাঙার অভ্যেস নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বারবার ট্রাফিক আইন ভাঙার বিষয়টি নিয়ে সেবার আদালতে বিচার হয়। বিচারক বলেন, এই রায়দানের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে, যাতে সবাই বুঝতে পারে যে আইন ভেঙে পার পাওয়া যায় না। শেন ওয়ার্ন মোট ছয়বার গতির উর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন করেছেন। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে কোনোটাই গুরুতর নয়। তবে এই অপরাধের শাস্তি প্রয়োজন।
গত জুলাই মাসে শেন ওয়ার্ন আদালতে আপিল করে বলেছিলেন যে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স যেন না কেড়ে নেওয়া হয়। সেই আপিল অনুযায়ী পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তার লাইসেন্সের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।