করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভারতে ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তবে এরই মধ্যে রয়েছে ভালো খবর। কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার বাড়ছে। যা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক খবর। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮২,১৪৩ জন। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কেস ৮৯,৯৯৫ জন। এছাড়া সুস্থ/ডিসচার্জ/মাইগ্রেটেড হয়েছেন ৮৬,৯৮৪ জন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ৫,১৬৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ৮,৩৮০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া একই সময়সীমায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৩ জনের।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৪,৬১৪ জন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যদিও অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩,৫৭৩টি বেড়ে গিয়েছে। পূর্বেকার ৪৭.৪০ শতাংশ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার বেড়ে হয়েছে ৪৭.৭৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ৪৬২টি সরকারি ল্যাবরেটরি এবং ২০০টি প্রাইভেট ল্যাবরেটরির মাধ্যমে দেশজুড়ে টেস্টিং ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ ৩৬ লক্ষাধিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশে দুমাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন চলার পর আগামীকাল থেকে পর্যায়ক্রমে অনেক কিছু চালু করা হবে। কেবলমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এছাড়া পণ্য ও মানুষের ইন্টার-স্টেট এবং ইন্ট্রা-স্টেট চলাচলের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। আগামী ৮ জুন থেকে ধর্মীয় স্থান, রেস্তোঁরা এবং অন্যান্য আতিথেয়তা পরিষেবাগুলি খুলে দেওয়া হবে।
করা হয়েছে, সেই সব স্থানগুলিতে সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে। এছাড়াও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করার পর রাজ্যগুলিকে বাড়তি নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশের মতো কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে যে, তাদের রাজ্যে আরও ২-৪ সপ্তাহ লকডাউন বর্ধিত করা হবে। আগামী ১ জুন থেকে রাজ্যগুলির মধ্যে অথবা রাজ্যে পণ্য এবং মানুষের যাতায়াতে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। এছাড়া হোটেল, রেস্তোঁরা এবং শপিংমল আগামী ৮ জুন থেকে খুলে দেওয়া হবে।
এখনও পর্যন্ত দেশে ৩৬ লক্ষাধিক মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডেটা অনুযাযী, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রে (৬৫,১৬৮), তারপরে রয়েছে তামিলনাড়ু (২১,১৮৪), দিল্লি (১৮,৫৪৯) এবং গুজরাট (১৬,৩৪৩)। ৫,১৬৪টি মৃত্যুর মধ্যে কেবলমাত্র মহারাষ্ট্র থেকেই ২,১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর রয়েছে। এই তালিকায় তারপরে রয়েছে গুজরাট (১,০০৭) এবং দিল্লি (৪১৬)।