দৈনিক সুন্দরবন ডেস্ক
অবিলম্বে সমস্ত ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ভারতীয় বাঁহাতি স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা। ওঝাকে শেষবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালের নভেম্বরে বিহারের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক একটি ম্যাচে। ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার হায়দরাবাদ এবং বাংলার হয়েও তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন।
২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে ভারতের হয়ে ডেবিউ করেন ওঝা। তার পরের বছরে একই দলের বিরুদ্ধে টি-২০ আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে তার হাতে খড়ি হয়েছিল। সেই ম্যাচে তিনি চার উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছিলেন। ভারতের হয়ে ওঝা মোট ১৮টি ওডিআই, ছয়টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ওঝা মূলত টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্যের স্বাদ অনুভব করেছেন।২০০৯ সালে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই ফরম্যাটে তিনি ডেবিউ করেন। টেস্ট ক্রিকেটে ওঝা ১০০-এরও বেশি উইকেট তুলে নিয়েছেন।
ঘটনাচক্রে ভারতের হয়ে ওঝা তার শেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ১০ উইকেট সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার জিতেছিলেন। আবার সেটাই ছিল ভারতের হয়ে শচীন তেন্ডুলকরের শেষ ম্যাচ। ওঝা ২৪টি টেস্ট ম্যাচ থেকে ১১৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন।
আইপিএলের প্রথম দিকে অধিক সাফল্য অর্জন করেছিলেন। ২০০৯ সালে আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ডেকান চার্জার্স দলের সদস্য ছিলেন ওঝা। পরে তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছিলেন। ২০১০ সালের আইপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহের সুবাদে তিনি পার্পল ক্যাপ জিতে নিয়েছিলেন। শেষবার তাকে আইপিএলে দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালে।
ট্যুইটারে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে ওঝা বলেন, ছোটোবেলা থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটার হওয়া এবং সর্বোচ্চ স্তরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা আমার স্বপ্ন ছিল। আমার ঘটনাবহুল কেরিয়ার অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।
এর পাশাপাশি ভিভিএস লক্ষ্মণ, ভেঙ্কটপল্লি রাজু, হরভজন সিং এবং এমএস ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওঝা।তিনি জানিয়েছেন, শচীন তেন্ডুলকরের কাছ থেকে টেস্ট ক্যাপ গ্রহণ করা তার কেরিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। ওঝা তার বিবৃতিতে আরও বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেট সংগ্রহ করা আমার কেরিয়ারের একটি গৌরবময় মুহূর্ত। আমি আশা করছি সমস্ত রকমভাবে ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে আমি যোগদান দিতে পারব। একজন দাদার মতো আমাকে পথ দেখানোয় ভিভিএস লক্ষ্মণের কাছে, ভারতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ প্রদানের জন্য এমএস ধোনির কাছে আমি কৃতজ্ঞ।