বাংলাদেশে ফের পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বাড়ল। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজের খুচরো মূল্য ছিল কেজি প্রতি ১৮০ টাকা। গত সপ্তাহে এই দাম ছিল কেজি প্রতি ১০০-১১০ টাকা। আবার এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, শীতের মরসুমে এই বৃষ্টির জেরে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। তাই পেঁয়াজের দাম অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরপুরে কয়েক দিন আগে ১২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ী আলমাস হোসেন বলেন, দুদিন আগেও পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সকাল বেলা পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দেখি কেজি প্রতি দাম হয়েছে ১৬০ টাকা। বাধ্য হয়ে ওই দামেই পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। তাই এখন আর ১৮০ টাকার কমে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
গত সপ্তাহে চিন ও মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে কেজি প্রতি ৪৫ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়। তবে এই সপ্তাহে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। কারওয়ান বাজারের খুচরো পেঁয়াজ বিক্রেতা লতিফ হাওলাদার বলেন, গত সপ্তাহে মিশরের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫০ টাকা ছিল। তবে এই সপ্তাহে তা বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকায়। কারণ গত দুদিন দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া কারওয়ান বাজারে পাইকারি দোকানগুলিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে এই পণ্যের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। যে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকা, তার কেজি প্রতি দাম বেড়ে ২৫০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। গত কয়েক মাস পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ইস্যুতে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে। অনেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সির ইস্তফা দাবি করেছেন। এরপর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মিশর, তুরস্ক ও চিন থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। পাশাপাশি বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ আসায় দাম কমতে থাকে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে দেশি নতুন পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ১০০ টাকা। এখন তা আবার বেড়ে ২০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় বাংলাদেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।