টুর্নামেন্টের নাম পাথরপ্রতিমা কাপ ২০২০। কাকদ্বীপ মহকুমার পারথপ্রতিমায় এই টুর্নামেন্ট গত বছর থেকে আরম্ভ হয়েছে। স্থানীয় স্তরে ফুটবলের প্রসার এবং এলাকায় ক্রীড়া সংস্কৃতি সৃষ্টি করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবছর টুর্নামেন্টে মোট ৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দল পাবে নগদ ১ লক্ষ টাকা। রানার্স আপ দল পাবে ৭৫,০০০ টাকা।
ফুটবল প্রতিযোগিতার দিক থেকে এই অর্থরাশি সামান্য মনে হলেও সুন্দরবনের এক প্রত্যন্ত গ্রামের টুর্নামেন্টের দিক থেকে এই অর্থরাশি বেশ সম্মানজনক। তবে প্রশ্ন হল, স্থানীয় স্তরে ফুটবল প্রতিভার উন্নতিতে কতটা সহায়ক এই টুর্নামেন্ট? পাথরপ্রতিমা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মাধবনগর বাজারপাড়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে যৌথভাবে আয়োজিত এই ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের ১৪ জনের স্কোয়াডে অন্তত দুজন করে স্থানীয় খেলোয়াড় থাকার কথা। যদিও টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজক তথা মাধবনগর বাজারপাড়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সেক্রেটারি সরোজ মাইতি বলেন, স্থানীয় খেলোয়াড়, অর্থাৎ পাথরপ্রতিমা ব্লক থেকে প্রতিটি দলে অন্তত দুজন খেলোয়াড়ের থাকার সংস্থান থাকলেও কোনো দল স্থানীয় খেলোয়াড়কে শামিল করেনি। কিন্তু প্রশ্ন হল, যে টুর্নামেন্টের নাম পাথরপ্রতিমা কাপ ২০২০, সেই টুর্নামেন্টে পাথরপ্রতিমার কোনো খেলোয়াড় নেই কেন? রবিবার টুর্নামেন্টে গিয়ে দেখা গেল, প্রতিটি দলেই ঘানা, নাইজিরিয়ার মতো দেশের খেলোয়াড়রা রয়েছেন। দু-একজন ভারতীয় খেলোয়াড়ও রয়েছে। তবে তাদের কেউই স্থানীয় বা সুন্দরবন বা পাথরপ্রতিমার নন।
কিন্তু এমনটা কেন হচ্ছে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজক সরোজ মাইতি। তার ব্যাখ্যা, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য যে দক্ষতা প্রয়োজন, স্থানীয় খেলোয়াড়দের সেটা নেই। অর্থাৎ তার বক্তব্য, স্থানীয় খেলোয়াড়রা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার দিক থেকে অন্যান্যদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন। অবশ্য স্থানীয়রা অন্য কথা বলছেন। তাদের অনেকের বক্তব্য, স্থানীয় স্তরে বা পাথরপ্রতিমায় ফুটবল প্রতিভার কোনো অভাব নেই। তারা নিজেদের দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ পেলে তবেই নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পাবেন।