পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনের পর আগামী জুন মাসে কংগ্রেসের নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়া হবে। আজ দলীয় বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বৈঠকে রাহুল গান্ধি বলেন, এই ব্যাপারে একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে এখানেই এটার সমাপ্তি হোক।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লুসি) বৈঠকের পর কেসি ভেনুগোপাল সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ সালের জুন মাসে কংগ্রেসের এক নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, মুকুল ওয়ানসিক এবং পি চিদম্বরমের মতো সিনিয়র নেতারা। তারা অবিলম্বে সাংগঠনিক নির্বাচনের দাবি তোলেন। সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন রাজ্যে দলের পারফরমেন্স নিয়ে তারা অস্বস্তিকর প্রশ্নও তোলেন বলে জানা গিয়েছে। অশোক গেহলট, অমরিন্দর সিং, একে অ্যান্টনি, তারিক আনওয়ার এবং উমান চন্ডির মতো গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে ব কলমে আওয়াজ তোলা হয়। প্রসঙ্গত, এই নেতাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু সহ পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়া হোক। যদিও দলের অপর অংশ এই প্রস্তাবে রাজি নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, আমরা কাদের অ্যাজেন্ডা নিয়ে কাজ করছি? বিজেপি তাদের দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন নিয়ে আমাদের দলের মতো কথা বলে না? প্রথম লক্ষ্য হল রাজ্যগুলিতে নির্বাচনে লড়াই করা। তারপর দলীয় সাংগঠনিক নির্বাচন।
সিডব্লুসি শেষ পর্যন্ত এই মতামতেই সায় দেয়। আপাতত পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের দিকে দলের নজর থাকবে। আগামী জুনে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাকে বেছে নেওয়া হয় তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে কংগ্রেসের শোচনীয় পারফরমেন্সের পর প্রশ্নের মুখে পড়েছে গান্ধি পরিবারের নেতৃত্ব। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলাফলের পর দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধি। তখন ইন্টেরিম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ফের কংগ্রেস সভানেত্রীর ভূমিকা পালন করতে চান না। একই বক্তব্য রাহুল গান্ধির। রাহুল-সোনিয়া চাইছেন, গান্ধি পরিবারের বাইরে কেউ এবার কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হোক। দলীয় প্রেসিডেন্টের পদ থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে চাইলেও কংগ্রেসের প্রকৃত ক্ষমতা এখনও গান্ধি পরিবারের হাতেই রয়েছে। দলের কোনো বড় সিদ্ধান্ত রাহুল বা সোনিয়ার মতামত ছাড়া অনুমোদন পায় না।