শনিবার থেকে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে শুরু হয়েছে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচ। গোড়ালিতে চোট পেয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছেন ভারতীয় পেস বোলার ইশান্ত শর্মা। বলাই বাহুল্য, সিরিজে পিছিয়ে থাকা টিম ইন্ডিয়ার কাছে ইশান্তের ছিটকে যাওয়া একটা বড় ধাক্কা। এবার বিষয়টি নিয়ে চাপে পড়লেন ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) প্রধান ফিজিও আশিস কৌশিক। তার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইশান্তের চোট এতটাই গুরুতর যে তিনি আইপিএলের প্রথম দিকের কিছু ম্যাচও হয়তো খেলতে পারবেন না। প্রথম টেস্টের ৭২ ঘন্টা আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পা রেখেছিলেন ইশান্ত। প্রথম টেস্টে ২৩ ওভার বল করার পর তিনি পাঁচ উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন। এদিকে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাদ পড়ার পর ইশান্তের পায়ের স্ক্যান করা হয়েছে। তবে তার ফলাফল নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। ২৪ ঘন্টা পর বিসিসিআই সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি জারি করে বিষয়টি জানায়, তাতে নতুন কিছু তথ্য ছিল না। তবে ইশান্ত শর্মার চোটের পর বেশ কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিসিসিআই ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বলেন, দিল্লির দলের ফিজিও যখন জানিয়েছিলেন চোট থেকে সুস্থ্য হতে ইশান্তের ছয় সপ্তাহ সময় প্রয়োজন, তখন কৌশিক এবং এনসিএ টিম কিভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে তিন সপ্তাহের বিশ্রামের পরই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ইশান্ত ফিরে আসতে পারবেন?
দ্বিতীয় প্রশ্ন হল, টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুত হতে কি ইশান্ত নিজেই একটু তাড়াহুড়ো করছিলেন?
তৃতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, চোট সারিয়ে জাতীয় দলে ফেরার আগে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে প্র্যাকটিস করতে হয়। অথচ ইশান্তের ক্ষেত্রে সেটা হল না কেন। যদিও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় ইশান্ত শর্মা জানিয়েছিলেন, এনসিএতে দুদিনে তিনি মোট ২১ ওভার বল করেছিলেন। তারপরই জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার জন্য ইশান্তকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ইশান্ত নিজে কৌশিকের সঙ্গে একটি ছবি ট্যুইট করে তার রিহ্যাবিলিটেশনের জন্য এনসিএকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
ভারতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় যখন চোট থেকে সুস্থ্য হতে এনসিএর ফিজিওর পরিবর্তে ব্যক্তিগত ফিজিওর উপর ভরসা করছেন, তখন ইশান্তের এই প্রচারকে ইতিবাচক হিসেবেই গণ্য করছিল বিসিসিআই। সম্প্রতি বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, চোট সারিয়ে দলে ফেরা প্রত্যেক ক্রিকেটারকে এনসিএর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তবে ইশান্তের ঘটনায় এনসিএর কার্যকারিতা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠছে।