একেই বোধহয় বলে অসহায় আত্মসমর্পণ!
আইপিএল ২০২০-এর প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে খড়কুটোর মতে উড়ে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন প্রথম ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলে মুম্বই। ওপেনার কুইন্টন ডি কক ৪০ রান করেন। যদিও অন্য ওপেনার, চোট সারিয়ে দলে ফেরা অধিনায়ক রোহিত শর্মা শূন্য রানে আউট হন।
মুম্বইয়ের মিডল অর্ডারের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব (৫১) এবং ঈষাণ কিষাণ (৫৫)। ইনিংসের শেষে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া। মাত্র ১৪ বলে তিনি ৩৭ রান করেন (স্ট্রাইক রেট ২৬৪.২৯)। কোয়ালিফায়ারের মতো নকআউট পর্যায়ে জয়ের জন্য ২০১ রান তাড়া করা যে সহজ হবে না, তা প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। দিল্লি ক্যাপিটালসের টপ অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। তাদের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান পৃথ্বী শাউ, শিখর ধাওয়ান এবং অজিঙ্কে রাহানে শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
কোয়ালিফায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তিন ব্যাটসম্যান যদি খাতা খুলতেই না পারেন, তাহলে যা হতে পারে, এক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছে। শুরু থেকেই দিল্লির ছন্দপতন হয়। দিল্লির বাকি ব্যাটসম্যানদেরও মনে হয়নি তারা জেতার জন্য খেলতে নেমেছেন। তাদের চোখেমুখেই পরাজয়ের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মার্কাস স্টোইনিসের ৬৫ রানের ইনিংস ছাড়া কেউ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি বুমরাহ, চাহারদের বোলিংয়ের সামনে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৩ রানে থেমে যায় দিল্লির ইনিংস। যার নিট ফল, ৫৭ রানে মুম্বইয়ের জয়। এই জয়ের সুবাদে আইপিএল ২০২০-এর ফাইনালে পৌঁছে গেল এবারের প্রতিযোগিতার অন্যতম ফেবারিট দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
এদিন দিল্লির দল নির্বাচন নিয়েও ক্রিকেট অনুরাগীরা প্রশ্ন তুলেছেন। শিমরন হেটমায়ারের মতো দক্ষ ব্যাটসম্যানের বদলে কেন অজি ক্রিকেটার ড্যানিয়েল স্যামসকে অন্তর্ভুক্ত করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিং।