দৈনিক সুন্দরবন ডেস্ক
ভারত সহ গোটা বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টি করেছে মারণ করোনাভাইরাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারতে লকডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এদিকে এনডিটিভির একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সমগ্র দেশে তিন লক্ষাধিক মানুষ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এদের মধ্যে কেই কোভিড-১৯ (COVID-19) পজিটিভ কি না, সেদিকেই নজর রাখা হচ্ছে। এদিকে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এনডিটিভির সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০,৩৬৩ জন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আইসোলেশনে রয়েছেন ৩,২৩,০০০ জন। এদের মধ্যে কেউ নিজেদের বাড়িতে আবার কেউ সরকারি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এক সরকারি আধিকারিক এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, এই সব পরিসংখ্যানকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও জোরালো করতে হবে। লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে প্রায় সব রাজ্যই সমর্থন জানিয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী দু’সপ্তাহে আমরা নতুন এক ঝাঁককে আইসোলেশনে রাখতে পারব। লকডাউনের ফলে সরকারের পক্ষে বিপজ্জনক সংক্রমণের স্থানগুলি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষরা পুলিশের সঙ্গে দিবারাত্র কাজ করে চলেছে। লক্ষ্য আরও বেশি সংখ্যককে চিহ্নিত করা। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, যে সব এলাকার হটস্পট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেদিকে আমরা মনোযোগী ও কড়া নজরদারি করব।