প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে এক ইনিংস এবং ১৩০ রানে পরাজিত করল ভারত। ইন্দোরের হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ৫৮.৩ ওভার খেলে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের প্রথম ইনিংস।
ইন্দোরের পিচে পেস বোলাররা দারুণ সাহায্য পেয়েছেন। তিন উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ শামি। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম (৪৩)।
বাংলাদেশের ১৫০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে দেয় ভারত। দ্বিশত রান করেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল (২৪৩)। অধিনায়ক বিরাট কোহলি (০) এবং ওপেনার রোহিত শর্মার (৬) ব্যাট থেকে বড় রান না এলেও ভারতের ইনিংস গড়ার কাজ করেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৪), অজিঙ্কে রাহানে (৮৬) এবং রবীন্দ্র জাডেজা (৬০)। বাংলাদেশের আবু জায়েদ পেয়েছেন ৪টি উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইবাদত হোসেন এবং মেহিদি হাসান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬৯.২ ওভার খেলে ২১৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম (৬৪) ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংসে ভাঙন ধরানোর কাজেও অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন ভারতের পেসাররা। আগুনে বোলিং করেছেন মহম্মদ শামি। চার উইকেট তুলে নিয়েছেন মহম্মদ শামি। তিন উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। দুই উইকেট নিয়েছেন উমেশ যাদব। একটি উইকেট পেয়েছেন ইশান্ত শর্মা।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ মায়াঙ্ক আগারওয়াল বলেন, দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার কাছে স্বপ্ন। এইভাবে শুরু করতে পেরে আমি খুব খুশি। অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হল ভারতীয় ক্রিকেটকে আরও উচ্চস্তরে নিয়ে যাওয়া। আমরা সেই লক্ষ্যের দিকেই ক্রমশ এগিয়ে চলেছি। গোলাপী বলের টেস্ট বেশ উত্তেজনাময় হতে চলেছে। বাংলাদেশের অধিনায়ক মমিনূল হক বলেন, এই টেস্ট ম্যাচ থেকে মুশফিকুর আর আবু জায়েদের পারফরমেন্স আমাদের কাছে একমাত্র ইতিবাচক দিক। ভারতের বোলিং অ্যাটাকের বিরুদ্ধে ব্যাট করাটা যে বাংলাদেশী টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মমিনূল। তিনি বলেন, সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ ম্যাচ তারা উপভোগ করবেন।