করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সবরকম সতর্কতা নিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্টেটম্যানের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, দ্রুত গতিতে গঙ্গাসাগর মেলা সংলগ্ন এলাকা স্যানিটাইজ করতে ড্রোন ব্যবহার করতে পারে প্রশাসন। অর্থাৎ ড্রোনের মাধ্যমে আকাশ থেকে নীচে স্যানিটাজার স্প্রে করা হতে পারে।
২০২১ সালের গঙ্গাসাগর মেলায় ড্রোন মোতায়েরন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়েবলকে। ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি স্যানিটাইজার স্প্রে করা হতে পারে। ২০১৮ সাল থেকে গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজনের সময় ড্রোনের ব্যবহার শুরু হয়। লট নং. ৮, কচুবেড়িয়া, নামখানা, বেনুবন, চেমগুড়ি, বাস স্ট্যান্ড, সাগর মন্দির এবং বিচের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হয়।
মেলায় আগত জনগণের উপর নজরদারি চালানো হয় এই ড্রোনের মাধ্যমে। যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। স্টেটম্যানের প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওয়েবল কর্তা বলেন, এই বছর আমরা হাই রেজলিউশনের কম্প্যাক্ট থার্মাল ড্রোন মোতায়েন করেছি, যেগুলির সাহায্যে নিরাপত্তার জন্য নজরদারি চালানো যাবে। নৌকা থেকেও এগুলি ওড়ানো যায়।
করোনা পরিস্থিতিতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলা হচ্ছে কী না তা দেখতে ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনার কারণে যেসমস্ত পুণ্যার্থী এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় আসতে পারেননি, তারা যাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মেলার দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন, সেই কাজও করবে ড্রোন। ড্রোনের ক্যামেরার সাহায্যে মেলার ফুটেজ ক্যাপচার করা হচ্ছে, যা থেকে ভার্চুলায় মিডিয়ামে গঙ্গাসাগর দর্শন করা যাবে।
ওয়েবল কর্তারা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ড্রোনগুলিতে রয়েছে এইচডি ক্যামেরা, যা থেকে ঝকঝকে ছবি, ভিডিও তোলা যায়। এই ক্যামেরার সাহায্যে লাইভ ফুটেজও সংগ্রহ করা যায়। একটি কন্ট্রোল রূম থেকে সমগ্র বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিশেষত যে সমস্ত জায়গাগুলিতে সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চালানো সম্ভব নয়, সেখানে ভরসা এই ড্রোন।
কন্ট্রোল রুমে রয়েছে বিপর্জয় মোকাবিলা বিশেষজ্ঞ সহ অন্যান্যরা, যারা সমস্ত ফুটেজ দেখে কোনো সন্দেহ হলেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। গঙ্গাসাগর মেলার লাইভ স্ট্রিমের ব্যবস্থা তিনটি লেয়ারের মাধ্যমে করা হয়েছে, যাতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় বা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে লাইভ স্ট্রিমে কোনো অসুবিধা না হয়।
করোনা পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলায় বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলায় রয়েছে বিশেষ মেডিকেল টিম। চব্বিশ ঘন্টা ধরে নজরদারি চালাবে এই মেডিকেল টিম। মেলায় আগত পূণ্যার্থীদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিতরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।