প্রেসিডেন্ট হিসাবে বুধবার হোয়াইট হাউজে শেষবারের জন্য পা রাখলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সাধারণ রীতি হল, নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট উপস্থিত থাকেন। এবার তেমনটা হয়নি। ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে অনেক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। বিশেষত কোভিড-১৯ এর সময় থেকে তার নানা পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মার্কিন মুলুকে কোভিড মহামারির আকার ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দুষছেন বিরোধীরা। বুধবার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে শেষবারের মতো হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায় নিয়েছেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৮টা নাগাদ তারা হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টারে উঠে চলে যান। নিকটবর্তী এয়ারবেস পর্যন্ত ওই হেলিকপ্টারে করে যাওয়ার পর এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানে করে তারা ফ্লোরিডায় রওনা হবেন। ৭৪ বছর বয়সী ট্রাম্পকে বিদায় জানাতে কিছু অনুগামী এদিন হোয়াইট হাউজের সামনে ভিড় করেছিলেন। তাদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বলেন, সবাইকে গুডবাই বলতে চাই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনকে জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান বলে তকমা দিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিন দুপুর নাগাদ যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাইডেন শপথ নেবেন, তখন হোয়াইট হাউজ থেকে অনেক দূরে, ফ্লোরিডায় নিজের রিসর্ট মার-আ-লাগোতে থাকবেন ট্রাম্প। সপ্তাহ দুয়েক আগে যেখানে ট্রাম্প সমর্থকদের সাথে পুলিশের বচসা বেধেছিল, সেই স্থানেই আজ বাইডেনের পাশাপাশি ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন কমলা হ্যারিস। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ২৫,০০০ ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী। করোনা মহামারির কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন না।