মহামারি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। গত মার্চ মাস থেকে ভারতে জারি করা হয়েছে দফায় দফায় লকডাউন। তবুও বাগে আনা যাচ্ছিল না নভেল করোনাভাইরাসকে। তবে অবশেষে কিছু ইতিবাচক খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ ভারতে করোনার প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে সর্বশেষ রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সেই সংখ্যা ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অর্থাৎ গত মাসের মাঝামাঝি এদেশে যে পরিমাণ করোনা আক্রান্ত হয়েছিল, তার পরিমাণ বর্তমানে অর্ধেকে নেমে গিয়েছে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক সংবাদ। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই সংবাদ আরও শক্তি জোগাবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাত দিনের রোলিং গড় হল ৪৭,২১৬। তবে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই সংখ্যা ছিল ৯৩,৭৩৫। এর পাশাপাশি করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর সংখ্যা যেখানে ছিল ১১৭৬ জন, ২৯ অক্টোবর সেটি কমে হয়েছে ৫৪৩, অর্থাৎ ৫০ শতাংশেরও অধিক মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে।
করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার গত জুলাই মাসে যা ছিল, বর্তমানে সেই স্তর ফিরে এসেছে। সাত দিনের রোলিং গড় বিগত ২৭ জুলাইয়ের সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যা ছিল ৪৬,৭৬০। এর পর ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে ৫২ দিন সময় লেগেছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ শতাংশের নীচে নামতে সময় লেগেছে ৪২-৪৩ দিন।
করোনায় বর্তমানে মৃত্যুর সংখ্যাও গত ১৫ জুলাইয়ের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। তখন সাত দিনের রোলিং গড় ছিল ৫৩৮। সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায়। ৪১ দিন পর সেই সংখ্যা এবার ক্রমশ নিম্নগামী হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ নীচের দিকে নামছে। শুক্রবারের হিসেব সেটাই বলছে। এদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৮,৪৯৬ জন, বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৪৯,০৭০ জন। সাপ্তাহিক আক্রান্তের সংখ্যা এই সপ্তাহে কেবলমাত্র বুধবার পঞ্চাশ হাজার (৫০,২২৪ জন) অতিক্রম করেছিল।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮০,৮৭,৮৩৩ জন। শুক্রবার দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে নতুন করে অনেকের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা কমছে।