সমগ্র বিশ্বে ক্রমশ ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করছে করোনাভাইরাস। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এই ভাইরাসে সারা বিশ্বের মৃতের সংখ্যা ১১,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছুঁতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার, ২২ মার্চ সারা দেশে জনতা কারফিউ পালন করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সমগ্র দেশে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৩। ভারতের আকাশপথ রবিবার বন্ধ হওয়ার আগে ইতালিতে আটক ভারতীয় পড়ুয়া সহ অন্যান্য নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমান পাঠানো হয়েছে।
বিডি নিউজের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বিশ্বের ১৬৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা হল ১১,৫৭২। আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭৮,৬৫৫। করোনাভাইরাসে চিনের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। গত তিন দিনে নতুন করে সেদেশে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও শনিবার আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩,২৫৫। এছাড়া চিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১,৩০৩। এর মধ্যে ৭১,৮৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানা গিয়েছে।
করোনাভাইরাসে এখন ইতালির অবস্থা খুবই শোচনীয়। একদিনেই ইউরোপের এই দেশে ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪,০৩২ জন, যা চিনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইতালি ছাড়াও ইউরোপের আর দুই দেশে স্পেন ও জার্মানিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা উদবেগজনকভাবে বাড়ছে। এছাড়া ইরানেও করোনাভাইরাসের জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ১,৫৫৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ২০,৬১০ জন। স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২১,৫৭১, মৃতের সংখ্যা ১,০৯৩। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানী মাদ্রিদের কনফারেন্স সেন্টারকে হাসপাতালে রুপান্তরিত করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১২,৬২৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৯,৬২৪। অন্যদিকে ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪,০১৪। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯,৮৪৮, মৃতের সংখ্যা ৭০। নেদারল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা ১০৭, আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০৩। দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৬৫২। অন্যদিকে মালয়েশিয়ায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১০৩০। সৌদি আরবে ৩৪৪ জন এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।