সমগ্র বিশ্বে মহামারির আকার নিয়েছে কোভিড-১৯। অনেক প্রাণহানির পাশাপাশি মানুষের জীবিকাও সঙ্কটে পড়েছে। বিশেষত সুন্দরবনের মৎসজীবীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। তারা কাঁকড়া, চিংড়ি বিগত কয়েকমাস ধরে রপ্তানি করতে পারছিলেন না। পরিস্থিতি মাঝে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল। কিন্তু করোনার প্রকোপ আবার বেড়ে যাওয়ায় কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না চিন।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, চিনের বন্দরনগরী দালিয়ান ও জিয়ামেন শহরে আমদানি করা চিংড়ির প্যাকেটে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে আশার কথা হল, প্যাকেটের ভিতরে বা চিংড়িতে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। চিনা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্যাকেটজাত দ্রব্য থেকে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই আপাতত চিংড়ি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে চিন। বেশ কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মান সংস্থার থেকে মাংস নেওয়া বন্ধ করে দেয় চিন। গত মাসে বেজিংয়ে নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর স্যামন মাছ আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। কারণ স্যামন মাছ কাটার একটি বোর্ডে করোনা পাওয়া যায়। এবার চিংড়ির ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল। দেখা গিয়েছে, হিমায়িত দ্রব্যে কোভিড থাকার সম্ভাবনা অধিক। ইকুয়েডরের তিনটি সংস্থার থেকে চিংড়ি আমদানি ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে চিনা প্রশাসন।
চিনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস কর্মকর্তা বি কেক্সিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, জিনফাদি বাজারে ভাইরাস শনাক্তের পর খাদ্যপণ্য, প্যাকেট এবং এসবের আশেপাশে থাকা প্রায় ২২ লাখ জিনিসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ইকুয়েডর থেকে আমদানি করা চিংড়ির প্যাকেটে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাই আপাতত চিংড়ি আমদানি বন্ধ রাখা হবে।