শুক্রবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি ঘোষণা করেছিলেন, আসন্ন এশিয়া কাপ পাকিস্তানের পরিবর্তে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তান এবং ভারত উভয় দল এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবেন। যদিও তারপর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান এহসান মানি দাবি করেন, এশিয়া কাপ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। এই ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এই বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলা টি-২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এবারের এশিয়া কাপ টি-২০ ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। পিসিবি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এশিয়া কাপ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। আইএএনএসের সঙ্গে কথা বলার সময় পিসিবির এক আধিকারিক বলেন, এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব থেকে এখনও পাকিস্তানকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। কেবলমাত্র এসিসি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সমস্ত দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ওই পিসিবি আধিকারিক বলেন, এসিসি হল এই ইভেন্ট আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ। অতএব সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা এশিয়া কাপ টি-২০ স্থানান্তরের ব্যাপারে কেবলমাত্র এসিসি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। নাজমুল হাসানের তত্ত্বাবধানে আগামী ৩ মার্চ দুবাইয়ে এসিসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সদস্য দেশগুলির স্বার্থ বিবেচনা করে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
শুক্রবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, আসন্ন এশিয়া কাপ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক বলেন, টুর্নামেন্ট আয়োজনের অধিকার নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরি হবে না। যেহেতু ভারতীয় দল পাকিস্তানে যেতে পারবে না, তাই এশিয়া কাপ টি-২০ টুর্নামেন্টের জন্য একটি নিরপেক্ষ ভেনু খুঁজে নেওয়াই হল আসল ব্যাপার। বিসিসিআইয়ের ওই আধিকারিক বলেন, পিসিবি টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে কি না সেটা বড় কথা নয়। মূল কথা হল ভেনু ঠিক করা। কারণ এখন যা পরিস্থিতি তাতে কোনোভাবেই ভারতীয় দলের পক্ষে পাকিস্তানে যাওয়া সম্ভব নয়। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) যদি ভারতকে বাদ দিয়েই এশিয়া কাপ আয়োজন করার কথা ভাবে, সেটা আলাদা ব্যাপার। তবে ভারত যদি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে চায়, তাহলে টুর্নামেন্টটি পাকিস্তান থেকে সরাতেই হবে।
এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে আগেও সমস্যা হয়েছিল। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ ভারতে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের ভিসা পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। তখন ভারতের পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে এই টুর্নামেন্ট স্থানান্তরিত করা হয়।