পিয়ালী মুখার্জী
শীতকালে আমাদের ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। এর ফলস্বরূপ যে সমস্যাগুলি দেখা দেয় সেগুলি হল ত্বক শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া, ত্বকের জেল্লা কমে যাওয়া, ত্বক ফেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে চুলকানি শুরু হওয়া। এমন পরিস্থিতিতে আমরা এই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য বাজার চলতি নান ব্র্যান্ডের বডি অয়েল, বডি লোশন, ক্রিম, ময়েশ্চার কিনে সেগুলি ব্যবহার করতে শুরু করি। কিন্তু আমরা ভুলে যাই যে শুধুমাত্র এইসব বডি অয়েল, লোশন, ক্রিম, ময়েশ্চার ত্বকে ব্যবহার করলেই আমাদের শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। ত্বকের পরিচর্যার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঠিক খাবার গ্রহণ করতে হবে। এগুলি আমাদের ত্বককে আদ্র বা হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করবে। তবে তার আগে প্রত্যেকদিন চার থেকে পাঁচ লিটার জল পান করা আবশ্যক। এখানে কয়েকটি খাবারের নাম উল্লেখ করা হল, যেগুলি শীতকালে আমাদের ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
১. শসা
শসা হচ্ছে এমন একটি সবজী বা ফল যেটি সারা বছর আমাদের দেশে পাওয়া যায়। শসায় জলের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। শসায় প্রায় ৯৬.৭ শতাংশ জল থাকে। তাই শসা খেলে আমাদের শরীরের ভিতর থেকে হাইড্রেট হয়। ফলে ত্বক ভালো থাকে।
২. টম্যাটো
টম্যাটো সারাবছর পাওয়া যায়। এতেও জলের পরিমাণ বেশি (৯৪.৫ শতাংশ)। স্যালাড, স্যান্ডউইচে টম্যাটো ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. মূলো
এই শীতে ত্বককে আদ্র রাখতে চাইলে আপনার খাদ্য তালিকায় মূলো রাখতে হবে। মূলোতে জলের পরিমাণ ৯৫.৩ শতাংশ।
৪. টকদই
টকদই প্রত্যেকদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। টকদই শরীরকে বা ত্বককে ডিহাইড্রেট বা শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
৫. গাজর
গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। পাশাপাশি এতে আছে ৮৭ শতাংশ জল যা আমাদের ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৬. কামরাঙ্গা
কামরাঙ্গাতে ৯১ শতাংশ জল থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এপিক্যাপথিন, যা আপনার হার্টকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৭. পালংশাক
পালংশাকে জলের পরিমাণ প্রায় ৯১.৪ শতাংশ। এটি আপনার ত্বককে আদ্র রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া পালংশাকে আছে পটাশিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইবার এবং লুটিন।